বৃহস্পতিবার, ৬ জুলাই, ২০২৩

অম্ল, ক্ষারক ও লবণ অধ্যায়ের ক্লাস লেকচার : পর্ব ২ ক্ষারক অংশ

অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায়ের নাম অম্ল, ক্ষারক ও লবণ। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ই অধ্যায়ের ক্ষারক অংশের ক্লাস লেকচার নিম্নে দেওয়া হলো। আশাকরি শিক্ষার্থীরা এগুলো ভালোকরে নোট করে রপ্ত করবে। 

পর্ব ১ এর লিংক

ক্ষারক: এসিডের বিপরীতধর্মী পদার্থগুলোকে ক্ষারক বলে। ক্ষারকের সজ্ঞা দিতে গিয়ে আমরা বলতে পারি,-

“ ধাতুর অক্সাইড বা হাইড্রক্সাইড যা এসিডের সাথে বিক্রিয়ায় করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে ক্ষারক বলে।”



ক্ষার: যে সকল ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় তাদেরকে ক্ষার বলে।


ক্ষারের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য:

১. ক্ষার পানিতে দ্রবণীয়।

২. ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রক্সিল আয়ন দেয়।

৩. ক্ষারের জলীয় দ্রবণ লাল লিটমাসকে নীল করে।

৪. ক্ষার ফেনোফথ্যালিন দ্রবণে গোলাপী বর্ণ ধারণ করে।

৫. ক্ষার মিথাইল অরেঞ্জ দ্রবণে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

৬. ক্ষার মিথাইল রেড দ্রবণে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।

৭. ক্ষারের সাথে এসিডের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।

৮. অধিকাংশ ধাতব লবণের জলীয় দ্রবণে ক্ষার মিশালে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে এবং ধাতুর হাইড্রক্সাইডের অধঃক্ষেপ বা তলানি পড়ে।

৯. ক্ষারের জলীয় দ্রবণ সাবানের মত পিচ্ছিল।

১০. ক্ষারের জলীয় দ্রবণ বিদ্যুৎ পরিবাহী।

১১. ক্ষার সাধারণত কষা বা কটু স্বাদযুক্ত হয়।


ক্ষারকের ব্যবহার: ক্ষারকের নানাবিধ ব্যবহারের মধ্যে কতিপয় নিম্নে উল্লেখ করা হল-

১. পানি পরিস্কারক ব্লিচিং পাউডার তৈরীতে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয়।

২. ঘর-বাড়ি হোয়াইট ওয়াশ করতে  লাইম ওয়াটার ব্যবহার করা হয়।

৩. পোকমাকড় দমনে মিল্ক অফ লাইম ব্যবহার করা হয়।

৪. এন্টাসিড ঔষধ তৈরীতে মিল্ক অফ ম্যাগনেসিয়া ব্যবহার করা হয়।

৫. সাবান তৈরীতে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ব্যবহার করা হয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি বের হয় কেন?

  যদি আপনার কখনো জানতে ইচ্ছে করে- পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি বের হয় কেন? তবে এই লেখাটি আপনার জন্য। ঠিক আছে, আসুন একটু বিস্তারিতভাবে দেখি। ...