সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩

অম্ল, ক্ষারক ও লবণ অধ্যায়ের ক্লাস লেকচার : পর্ব ১ এসিড অংশ

 অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বইয়ের দশম অধ্যায়ের নাম অম্ল, ক্ষারক ও লবণ। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। ই অধ্যায়ের অম্ল বা এসিড অংশের ক্লাস লেকচার নিম্নে দেওয়া হলো। আশাকরি শিক্ষার্থীরা এগুলো ভালোকরে নোট করে রপ্ত করবে। 

পর্ব ২ এর লিংক

অম্ল বা এসিড: অম্লের ইংরেজি প্রতিশব্দ এসিড। টক স্বাদযুক্ত সব বস্তুর মধ্যেই এসিড থাকে। এসিডের সজ্ঞা দিতে গিয়ে আমরা বলতে পারি-“ যদি কোনো যৌগের অণুতে এক বা একাধিক প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে এবং ঐ প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেনকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলক দ্বারা আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে প্রতিস্থাপিত করা যায় এবং যা ক্ষারকের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে তাকে অম্ল বা এসিড বলে।”


এসিডের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য:

১. এসিডের অণুতে প্রতিস্থাপনীয় হাইড্রোজেন পরমাণু থাকে।

২. ধাতু বা ধাতুর ন্যায় ক্রিয়াশীল যৌগমূলক দ্বারা হাইড্রোজেন প্রতিস্থাপিত হয়ে লবণ উৎপন্ন করে।

৩. এসিড নীল লিটমাসকে লাল করে।

৪. এসিড ফেনোফথ্যালিন দ্রবণে বর্ণহীন হয়ে যায়।

৫. এসিড মিথাইল অরেঞ্জ দ্রবণে লাল বর্ণ ধারণ করে।

৬. এসিড মিথাইল রেড দ্রবণে লাল বর্ণ ধারণ করে।

৭. এসিডের সাথে ক্ষারকের বিক্রিয়ায় লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।

৮. এসিড সাধারণত টক স্বাদযুক্ত হয়।

৯. এসিড কার্বনেটযুক্ত লবণের সাথে বিক্রিয়া করে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন করে।


জৈব এসিড: ফলমূল বা শাকসবজিতে যে সকল এসিড থাকে তাদেরকে জৈব এসিড বলে।

মহাকাশ ও কৃত্রিম উপগ্রহ অধ্যায়ের ক্লাসলেকচার

খনিজ এসিড: প্রকৃতিতে প্রাপ্ত নানারকম খনিজ পদার্থ থেকে যে সকল এসিড তৈরী করা হয় তাদেরকে খনিজ এসিড বলে।


এসিডের ব্যবহার: মানব জীবনে এসিডের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু নিম্নে দেয়া হল।

১. জৈব এসিড আমাদের দেহের জন্য খুবই দরকারি। এগুলোর মধ্যে এসকরবিক এসিড বা ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের স্কার্ভি নামক রোগ হতে পারে।

২. বিভিন্না প্রকার সার যেমন ইউরিয়া, পটাশ, ফসফেট প্রভৃতি তৈরীতে খনিজ শিল্প কারখানায় খনিজ এসিড ব্যবহার করা হয়।

৩. টয়লেট পরিস্কারক তৈরীতে এসিড ব্যবহৃত হয়।

৪. গহনা তৈরীতে স্বর্ণকাররা নাইট্রিক এসিড ব্যবহার করে।

৫. ব্যাটারি তৈরীতে সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।

৬. সাপের উপদ্রব কমাতে কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়।

৭. খাবার হজমের জন্য আমাদের পাকস্থলিতে হাইড্রোক্লোরিক এসিড তৈরী হয়।

৮. ডিটারজেন্ট, রং, কীটনাশক ও কাগজ শিল্পে সালফিউরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।

৯. বিস্ফোরক প্রস্তুতি, খনি থেকে ধাতু আহরণ ও রকেটে জ্বালনির সাথে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি বের হয় কেন?

  যদি আপনার কখনো জানতে ইচ্ছে করে- পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি বের হয় কেন? তবে এই লেখাটি আপনার জন্য। ঠিক আছে, আসুন একটু বিস্তারিতভাবে দেখি। ...